আমার লেখা চাকমা বই “মর চাকমা বোই পোললিয়া বাগ” নামে একটি বই গত ১৪ এপ্রিল ২০১১ তারিখ প্রকাশিত হয়।
উক্ত বইয়ে আমরা কিছু সংস্কার করেছি। যেমন:-
১। মাজ্যা পাঠ বাংলায় যাকে বলে হসন্ত চিহ্ন আমরা তা বাদ দিয়েছি যার বিকল্প হিসেবে উবরতূললিয়া ব্যবহার করেছি। যেমন:- আপনি ইংরেজি A এর ব্যবহার দেখেছেন কিনা জানি না। বলেন তো? A এর উচ্চারণ কোন শব্দে প্রয়োগ করলে কেমন হয়?? ভিন্ন হয় নাকি A থাকে সবসময়??
২। যুক্তবর্ণ তো শুরু থেকেই বাদ এ কথা আর বাড়িয়ে বলার প্রয়োজন মনে করি না। যেহেতু যুক্তবর্ণ বাদ দেয়া হয়েছে। কেন, অযথা ফলার ব্যবহার করবো?? ফলা তো যুক্ত বর্ণের বিকল্প অবস্থান ।
৩। চাঁনফুদা বা বাংলায় চন্দ্রবিন্দ-কে আমার বাদ দিয়েছি। কারণ চাকমা ভাষায় চাঁনফুদা দিয়ে উচ্চারণ করতে হয় এমন শব্দের সংখ্যা খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
৪। অনুরুপ ভাবে, একফুদা(বিকল্প হিসাবে চিলাম-ঙাকে ব্যবহার করা হয়েছে), দ্বিফুদা, বাণি ফুদা, ঐ-কার বাদ দেয়া হয়েছে। কারণ ভাষাকে সহজ ও সাবলীল করার জন্য। এছাড়া, উক্ত চিহ্নগুলো বাদ দিয়ে ভাষার মর্যাদা হানিকর হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।
৫। সংখ্যাকে বাংলার অনুরুপ রাখা হয়েছে। যেমন:- ১, ২, ৩, ৪,…… উচ্চারণ চাকমা ভাষায় হবে। আর অংকে লিখলে বাংলার অনুরুপ হবে।
এবার বইটি সংস্কারপন্থী এবং অসংস্কারপন্থীর তুলামূলক চিত্র উপস্থাপন করলাম। এবার আপনাদের যুক্তিসংগত মতামতের উপর বইটি পুনরায় পুন:মুদ্রণ এবং সংশোধন করা হবে।