আজ সেই শৈশব কালের কথা বড় মনে পড়তেছে। কেননা, আমি যখন স্কুলে যাই, তখন বাবা নিজের উপার্জন করা পয়সা দিয়ে আমাকের একটা শার্ট কিনে দিতে পারছেন বলে মনে পড়ে না (বাবাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেছি তা নয়) । আর আমি স্কুলে গিয়ে স্কুল হতে কোথায় হারিয়ে যেতাম তা কেউ জানতো না। অনেকে ভালো ভালো টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়তো কিন্তু আমি প্রাইভেট-এর প অক্ষর কাকে বলে ছিনতাম না। এভাবে চলে হাই স্কুল জীবন। পরবর্তীতে যখন আমি কলেজ জীবন পারি দিই…. তখন হয় আরেক দশা। তখন ১৯৯৮ সাল। এইচএসসি পরীক্ষা সমাপ্ত। কি করি। কি করি। কয়েক মাস পর পরীক্ষা রেজাল্ট বের হলো। কে জানে প্রথম পরীক্ষা ধাব্বা মারবো।
মন তখন খুব ছোট হলো, মনে মনে ভাবলাম এত কষ্ট করে মানুষ পড়ে লেখা করে। এমনও দিন গেছে, না খেয়ে মনের কষ্টে সকলের অগোচরে তবুও পড়া লেখা চালিয়ে গেছি। আমরা তিন ভাইয়ের মধ্যে আমি সবার ছোট। তাই বাবা মায়ের কাছে আমি ছিলাম অত্যন্ত আধুরে। আর যা ইচ্ছা তাই করলাম। মনের খোরাকটাকে কখনও আমি অপুরণ রাখিনি। তবে, পড়ালেখার ক্ষেত্রে তা কখনও প্রযোজ্য নয়।
যার শুরু তার শেষ কোথায় আমি তা দেখেই ছাড়তাম। এভাবে আমার পথচলা । এখাবেই চললো কলেজ জীবন। পরবর্ততে ১৯৯৯ সালে আবারও এইচএসসি পরীক্ষা। মামা/চাচার বাসায় থেকে কোন মতে পরীক্ষা দিলাম । এবার রেজাল্ট হলো বিজ্ঞান বিভাগে ১ম ডিভিশন। যাক, সেই পালা শেষ, এখন কি করবো। কোন এক ইউনিভারসিটিতে পড়বো কিনা?? বা কোন উচ্চ শিক্ষা নেবো কিনা?? সংসারে আর্থিক অনটনের জন্য তা ছিলো অনীক কল্পনা। যাক, অনেকের কাছে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য বহু পরামর্শ চেয়েছি । কিন্তু এই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য কে বা এত টাকার খরচ বহন করবে। আর সাহায্য করবে বা কে??
তাই কারো কথা না শুনে চলে এলাম চাকুরীতে (আমি যাকে বলি চাকরের ভিক্ষাবৃত্তি) এখনও করতেছি। ক্ষিধা লাগে তাই। না হলে কখন এ ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিতাম। এখনও কল্পনা করি। আমার মত কোন তরুন বা যবক আজ যেন লেখা পড়া বা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে কেউ আমার দশায় পরিণত না হয়। আমার মন আছে কিন্তু ধন/দৌলত নেই। তাহলে তা হবে না। অথবা আমার ধন/দৌলত আছে ভিতরে …… ইয়ে শুন্য তাও কাজ হবে না। তাই আমি মনে করি উভয়ের প্রয়োজন । আপনার ধন/দৌলত আছে সাথে আছে ইয়ে…. তাহলে আপনি কোন বাধা বিপত্তি ছাড়া সফলকামী হবেন। যাক, সেই ছোট্ট বেলার অনেক অজানা তথ্য বের হলো।
সকলের কাছে আমার অনুরোধ থাকলো। আমরা আমাদের মেধা শক্তিকে বাজে কাজে ব্যবহার না করে সৎকাজে ব্যয় করি। এবং এ শক্তিকে যেন অপব্যবহার হতে না দিই। এজন্য বরেণ্য, সমাজের বিত্তবান, উদার মনের ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সাহায্য কামনা করছি। এ প্রসংগে, পড়া লেখার সময় শুনে আসছি… “শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড” । কিন্তু আজ তা কতটা সত্য সেটা এখন প্রশ্নের মম্মূখীন। কেননা, আমরা আমাদের নিজস্ব শিক্ষা বিস্তার, প্রচার, প্রসার ও শেয়ার করার জন্য কত বার যে পোষ্ট দিলাম। তা আজ পর্যন্ত কারো চোখে পড়েনি(দু’তিন জন ব্যক্তিক্রমী ব্যক্তি ছাড়া- আমি তাদের নাম বলবো না-তাদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা আমাদের এ ভাষা ও বর্ণকে রক্ষার জন্য আমাদের পাশে এগিয়ে আসার জন্য)।
যদি প্রকৃত পক্ষে “শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড” হয়ে থাকে। তাহলে আমাদের মাননীয় রাজা মহোদয়, মন্ত্রীবর্গ এবং সমাজের বিত্তবান আরো অনেকের এগিয়ে আসা উচিত । হয়তো অনেকের ধারণা হতে পারে; হিলএডুকেশন আজ যে কার্যক্রম করতেছে তাতে আমাদের মান-সম্মান, খ্যাতি, সুনাম দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তা কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয়, আপনি যদি পারেন; আপনার যদি সেই পারদর্শীতা থাকে তাহলে আপনিও হিলএডুকেশনের মতো ভাষা ও বর্ণকে নিয়ে ওয়েব চালু করুন, আমাদের কোন আপত্তি নেই। আপনিও বই লিখুন। আপনি এ শিক্ষা বিস্তারের জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আপনাকে সুস্বাগতম থাকলো। আপনিও ছড়িয়ে দিতে পারেন, আমাদের যে ভাষা ও বর্ণ আছে; তা জানুক সকলে। আমার তো মনে হয় পৃথিবীর ৯৯% লোক জানে না চাকমা’র আবার ভাষা ও বর্ণ আছে নাকি???
হিলএডুকেশন কথায় বিশ্বাস করে না; কাজে বিশ্বাসী সে করে দেখায় তারপর মুখে বলে। যা আপনারা সত্যি সত্যি এতদিন দেখে আসছেন। এবার দেখুন আমাদের বর্ণ সমূহ কিভাবে তৈরি করতে হয়। এর পরবর্তীতে তা কিভাবে কম্পিউটার সিস্টেমে ইনপুট করতে হয় তা দেখানে হবে ( এ পর্ব শেষ হওয়ার পর)।
নিয়মিত চোখ রাখুন কিছু শিখুন, অন্যকে শেয়ার করুন। অন্যকে শিখতে বলুন।
Nijore edok chigon babhana tig noy. Go ahead.
Bwzaman gom lagilo; ar mui morattun jei udilung para pelung. Ajo song somajt nizo jadw kokha bhaviye manuz aghon. Aja gwrong ak din ami successful obong.