পোষ্টটি করার আগে সকলের কাছে ক্ষমা চেযে নিচ্ছি– বানান ও ভাষারীতি ভুল হতে পারে তার জন্য।
আসলে আমাদের চাকমা সমাজে সচেতন বা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতের অভাব আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু আমি যখন চাকমা ভাষা সম্পর্কে প্রথম বই লিখতে বসি তখন সামনে এসে দাঁড়ায় মহাবিপদ।যেখানে বিপদ থাকে সেখানে আপনি যদি চেষ্টা করেন তবে উদ্ধারের রাস্তাও তৈরী থাকে। বিপদটা হচ্ছে চাকমা ফন্ট সমস্যা। বাংলা লেখার জন্য যেমন হাজার হাজার বাংলা ফন্ট রয়েছে। চাকমা ভাষা লেখার জন্য এযাবত বহু ফন্ট নির্মিত হলেও তা সবার কাছে উন্মুক্ত নয়। কেন? এটা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
আমাদের সব কিছু রয়েছে অথচ তা চর্চার অভাবে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। যেমন:- আমাদের ভাষার কথা বলি। মুখে মুখে সবাই অনড়গল বলতে পারে। কিন্তু এ ভাষায় শিক্ষিত চাকমা ব্যক্তিসহ নিজের ভাষায় নিজের নামটা কয়জন লিখতে পারে? মাত্র হাতে গোনা শতকরা ৫-৭ জন পাওয়া যেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে তা নাও হতে পারে।
এটা শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সেই শৈশবকাল হতে আমাদের শেখানো হয় বাংলা এবং ইংরেজী। ফলশ্রুতিতে আমাদের ভাষা ও বর্ণ চর্চা হারিয়ে যায় ধীরে ধীরে। এক সময় তা সচেতন বা শিক্ষিত চাকমাগণ বলতে পারেন না যে, আমাদের নিজস্ব বর্ণমালা ও ভাষা রয়েছে কিনা? এহেন অবস্থা হতে উত্তোরনের জন্য আমাদের এই সামান্য প্রচেষ্টা।
আমার কথা হচ্ছে…. আপনি পারলে আমি কেন পারবো না। একটা কথা সব সময় মনে রাখার চেষ্টা করি আপনি যেমন কর্ম করবেন, তেমন ফল পাবেন— সেটা হোক আগে আর পরে। যে জীবনে বেশি কষ্ট করে কিছু শিখে সে আসলে অনেক কিছুই জানতে পারে। তবে, আপনার জানার অদম্য আগ্রহও থাকা প্রয়োজন। নচেৎ আপিনও ব্যর্থ হবেন।
এবার আসি ফন্ট নির্মাণের কথায়। আসলে আমি প্রয়োজনেই ফন্ট নির্মাণ করাটা শিখেছি। অনেকে হয়তো বলতে পারেন…এটা একটা কঠিন কাজও বটে। কিন্তু তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। ফন্ট নির্মাণের জন্য আপনার একটি পিসি, একটি ফন্ট ডেভেলপিং সফটওয়্যার আর গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার থাকলে যথেষ্ট।সাথে অবশ্যই আপনার আগ্রহ ও মনোযোগ কমতি থাকলে চলবে না।
ও হ্যা…. ফন্ট ডেভেলপিং সফটওয়্যার হচ্ছে-
১। ফন্ট ল্যাব
২। ফন্টোগ্রাফার
৩। টাইপটুল
৪। ফন্ট মেকার । আপনার যেটি আছে সেটি দিয়ে আপনি কাজ চালাতে পারেন।
আর গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার হচ্ছে-
১। এডোবি ফটোশপ
২। এডোবি ইলাস্ট্রেটর ।আপনার যেটি আছে সেটি দিয়ে আপনি কাজ চালাতে পারেন।
তবে, আপনার কিছু বিশেষ কৌশলের পথ জানা থাকবে হবে। চলবে……