চাকমা ভাষায় যে সকল কারচিহ্ন গুলো আমি ব্যবহার করেছি সেগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করলাম। এতে করে জনমনে/পাঠক মহলে আর আমাদের ভাষা সস্পর্কে যেন কোন সন্দেহ না থাকে, সেটা আগে পরিস্কার করা প্রয়োজন। পুর্বে আমাদের ভাষায় অনেক কারচিহ্ন (চিহ্নপাঠ) ব্যবহৃত হতো কিন্তু এখন আর সেগুলো ব্যবহার নেই বললেই চলে। তাই বাহুল্যবোধে সে চিহ্নগুলো আমি আমার লিখিত সকল বই হতে বাদ দিয়েছি। আশা করি সকলের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে।
ভাষা তার আপন স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে পরিপুর্ণ আর ভাষায় বর্ণমালা যত কম থাকবে তত ভালো হয়। কারণ আমি যে বর্ণ দিয়ে এক বা একের অধিক কাজ অতি সহজে সমাধা করতে পারতেছি, তাহলে সেই বর্ণকে রেখে অন্য বর্ণকে বাদ দেয়া যুক্তিযুক্ত মনে করি। আর আমাদের ভাষায় ফলার ব্যবহার দেখা যায় । যেহেতু যুক্তবর্ণকে বাদ দেয়া হয়েছে; সেহেতু এই ভাষায় ফলার ব্যবহার থাকা অযুক্তিক।
আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, বাংলা একাডেমি কর্তৃক বাংলা ভাষাকে আরো সহজ ও সাবলীল করার জন্য বিভিন্ন সংস্কার করা হচ্ছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া খন্ড ৎ কে বাদ দেয়া হয়েছে। অনুরুপ ভাবে চন্দ্রবিন্দু, হসন্ত এবং রেফ এর ব্যবহারও কমানো হচ্ছে। বলাবাহুল্য বাংলা বর্ণে লি এর ব্যবহার আজকাল দেখায় যায় না। কেন???
পাঠক মহল এতক্ষণ নি:সন্দেহে বুঝতে পারার কথা। বাঙলীরা এই লি বর্ণকে কেন বাদ দিলো। অনুরুপভাবে আমাদের ভাষা হতে কিছু বর্ণ বাদ দিলে ক্ষতি কি?? নাকি ভাষা হারিয়ে যাবে?? অথবা কথা বলা অচল হয়ে যাবে??
এখন আমি যে সকল চিহ্ন ব্যবহার করেছি তা পাঠক মহলের কাছে সবার জ্ঞাতার্থে উপস্থাপন করলাম। আশা করি এতে দ্বিমত থাকার প্রশ্ন আসবে না।